দৈনিক ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী ও সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ পাঁচজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় ১০কোটি টাকার মিথ্যা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বুধবার (২৫ মে/২০২২) নেত্রকোণার পুর্বধলা উপজেলার ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় সভাপত্বি করেন দৈনিক ভোরের কাগজের পূর্বধলা প্রতিনিধি তিলক রায় টুলু ।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদেরকে হয়রানি বন্ধের দাবিতে বক্তব্য রাখেন গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের গৌলীপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রইছ উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি গৌরীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন-আল-বারী, উদীচী শ্যামগঞ্জ শাখার সভাপতি ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ, সাধারন সম্পাদক জয়ন্ত রায়, শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জীবন পন্ডিত, জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তপন কুমার কর্মকার, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির, মোঃ মাহফুজুর রহমান খান টুটন, হারধন সাহা, এসকেএফ ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি মোঃ শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সুজিত কুমার রায়, সুমিত কুমার রায়, বিশ্ব কুমার কর্মকার, নাদিম মাহমুদ মানিক চন্দ্র দাস, মোঃ সোহেল রানা ও নাঈম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তরা মাদকের গডফাদার আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় ও ভোরের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি মাদকবিরোধী অভিযানের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত মাদক কারবারির তালিকায় শীর্ষে ছিল আরফানুল হক রিফাতের নাম। তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডারবাজি হোতা, বালু খেকো, কুমিল্লার মাদকের গডফাদার হিসাবে পরিচিত মর্মে একাধিক সংবাদ পত্রে আগেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। সিটি নির্বাচনের আগেও আইওয়াশ হিসাবে তিনি বোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্ত মামলা দিয়ে গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা যাবে না । অবিলম্বে নিঃশর্ত মামলা প্রত্যাহার না করা হলে দেশজুড়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে সাংবাদিক সমাজ বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।